২৯ অক্টোবর ২০২০ - ০৭:৫৫
বিহারে প্রথম দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত, এনডিএ জোটের নিন্দায় সোচ্চার রাহুল

ভারতের বিহারে প্রথম দফা বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (বুধবার) সেখানে ৭১ আসনের জন্য ভোট হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৫ টা পর্যন্ত ৫১ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছে।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : রাজ্যটিতে জেডিইউ-বিজেপি নেতৃত্বাধীন ‘এনডিএ’ জোট সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। এবারের নির্বাচনে আরজেডি-কংগ্রেস-সিপিএমসহ অন্য দলের সমন্বিত ‘মহাজোট’ সরকার পক্ষকে কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।

প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী এমপি  আজ (বুধবার) বিহারের পশ্চিম চম্পারনে এক নির্বাচনী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনায় সোচ্চার হন। একইসঙ্গে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও জেডিইউ নেতা নীতিশ কুমারের সমালোচনা করেন।

রাহুল বলেন, ‘এই প্রথম গোটা পাঞ্জাবে দশহরা উৎসবে রাবণের কুশপুতল পোড়ানো হয়নি। বরং এর পরিবর্তে নরেন্দ্র মোদিজি, আদানি ও আম্বানি’র (বৃহৎ শিল্পপতি) কুশপুতল পোড়ানো হচ্ছে। এটা দুঃখের যে নরেন্দ্র মোদি দেশের প্রধানমন্ত্রী কিন্তু দশহরায় তাঁর কুশপুতল পোড়ানো হচ্ছে!’

রাহুল গান্ধী বলেন, সাম্প্রতিক কৃষি আইন নিয়ে পাঞ্জাবের কৃষকরা ব্যাপক ক্ষুব্ধ। সেখানকার লোকেরা খুব সাবধানী, একদিকে তারা আদানি অন্যদিকে আম্বানি ও মাঝখানে নরেন্দ্র মোদির মুখোশ লাগিয়ে কুশপুতল পুড়িয়েছে। কৃষক, দোকানদাররা ক্ষোভে ফুঁসছেন। তারা নরেন্দ্র মোদি ও নীতিশ কুমারের (বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও  জেডিইউ প্রধান) বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ। এই ক্ষোভ বেড়েই চলেছে। ২০০৬ সালে বিহারে কৃষকদের উপরে আক্রমণ হয়েছিল। এখানে কৃষক বাজার শেষ করে দেওয়া হয়েছিল। কৃষকরা ফসলের সঠিক দাম পাচ্ছেন না।’ 

রাহুল গান্ধী আরও বলেন, ‘কয়েক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী এখানে এসেছিলেন। তারপরে বলেছিলেন যে এটি আখের অঞ্চল, আমি এখানে একটি সুগার মিল শুরু করব। পরের বার আমি এখানে এসে আপনাদের সাথে চায়ে চিনি  মিশিয়ে খাব। তারপরে কী উনি আপনাদের সাথে চা পান করেছিলেন? সাধারণত দশহরায় রাবণ, কুম্ভকর্ণ এবং মেঘনাদের প্রতিমূর্তি পোড়ানো হয়। কিন্তু এই  প্রথমবারের মতো দেখা  গেল যে পাঞ্জাবে দশেরায় নরেন্দ্র মোদিজি, আম্বানি ও আদানি’র প্রতিমূর্তি পোড়ানো হচ্ছে। আজ কেন  ভারতীয় কৃষকরা মোদিজির প্রতিমূর্তি পোড়াচ্ছেন? এটিই বড় প্রশ্ন। নীতীশজি ২০০৬ সালে বিহারের সাথে যা করেছিলেন, আজ মোদিজি ২০২০ সালে গোটা পাঞ্জাব, বিহার ও গোটা ভারতের সাথে সেটাই করছেন।’

রাহুলের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থানের কথা বলেন না। নীতিশ কুমার তেজস্বী যাদবের (আরজেডি নেতা) পরিবারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করছেন। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমার পরিবারের বিরুদ্ধে কথা বলছেন।

বিহারে ২৮ অক্টোবর, ৩ নভেম্বর এবং ৭ নভেম্বর মোট তিন দফায় নির্বাচন হবে। ফল ঘোষণা হবে ১০ নভেম্বর।#

342/